নাস্তিকতা হলো হাল আমলের ফ্যাশন, অন্তত আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। তারুণ্যের মনচাহি জিন্দেগীর সামনে বাধার মতো দাঁড়িয়ে থাকে ধর্ম, তাই ধর্ম ছেড়ে দিলে খালি মজা আর মজা (যদিও নাস্তিকদের মাঝে আত্মহত্যার হার বেশি)। ফলে দেখা যায়, এদের নাস্তিকতার প্রায় শতভাগই হলো ইসলাম নিয়ে হাসিঠাট্টা আর নিজেদের দর্শনের বেসিক সম্পর্কে মহা-অজ্ঞতা। তাই অনেককে বুক ফুলিয়ে কুযুক্তি খাটাতে দেখা যায়:
নাস্তিক্যবাদ ধর্ম হলে ‘বাগান না করাও একটি শখ, ক্রিড়া না খেলাও একটি ক্রীড়া, কোকেইন সেবন না করাও একটি নেশা।’
জুবায়ের অর্নব
বিষয়টি খোলাসা করার আগে চলুন নাস্তিকতা কি তা নিয়ে একটু আলাপচারিতা করা যাক। ইংরেজি Atheist (এথিইস্ট) শব্দটি মূলত গ্রীক থেকে আসা। দুটি গ্রীক শব্দ (a+theos) মিলে গিয়ে এর অর্থ দাঁড়িয়েছে – “এক বা একাধিক স্রষ্টার অস্তিত্বে যে অবিশ্বাসী”।[১] তবে এথিইস্ট শব্দের শুরুটা কিন্তু এই অর্থে হয় নি। ইতিহাস থেকে জানা যায় খ্রিস্ট পরবর্তী দ্বিতীয় শতকে খ্রিস্টানরা মুখ বেজার করে অভিযোগ করতো – দেখো! ওরা আমাদের এথিইস্ট বলছে, অথচ এই অভিযোগ ওদের ঘাড়েই বর্তায়! তো ওরা, মানে রোমান পৌত্তলিকেরা খ্রিস্টানদের ‘এথিইস্ট’ বলে অভিহিত করত কেন? কারণ খ্রিস্টানরা রোমান পৌত্তলিকদের প্রচলিত ধর্মকর্মে বিশ্বাসী ছিলো না, তাই।[২] গবেষকদের মতে সেই প্রাচীন যুগে আজকের প্রচলিত অর্থে নাস্তিক কারো হদিশ মেলা ভার। প্রচলিত ধর্মাচারের বিরোধীদের গায়েই নাস্তিক তকমা লাগানো হতো।[৩]
Comments